স্মার্টফোন উৎপাদনে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করতে চায় চীনের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর আগে কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে, ভারতে ছিলো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতও চীনের ওইসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিনিয়ত বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এমন অবস্থায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও মিসরে কারখানা স্থাপনের বিষয়ে ভাবছে বলে গ্লোবাল টাইমস প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর আইএএনএস।
ভারতের একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্রের বরাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য দেশে কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাজার সম্ভাবনা, নীতি ও শ্রম ব্যয়ের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হবে। অন্যদিকে অপো মিসরে ২ কোটি ডলার ব্যয়ে সেলফোন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে চীনের ওই নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, মিসর সরকারের সঙ্গে অপোর সমঝোতার মাধ্যমে ২ কোটি ডলারের কারখানা স্থাপনের বিষয়টি সাময়িক স্থিতাবস্থা তৈরি করবে। মিসরের মন্ত্রিপরিষদের এক বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, নতুন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে অপোর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪৫ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে। আগামী তিন-পাঁচ বছরে এ বিনিয়োগের মাধ্যমে ৯০০-এর বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
নির্বাহী আরো জানান, ভারতে চীনা স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত চাপের বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছে। পাশাপাশি স্মার্টফোনের মতো অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিকস পণ্যের দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টিও সামনে রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে ভারত চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে। অপো, ভিভো ইন্ডিয়া ও শাওমির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিষয় তদন্ত করছে ভারত সরকার। শুল্ক ফাঁকি দেয়ার কারণে দেশটির ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নোটিসও পাঠিয়েছে।
ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে স্মার্টফোন ও চিপ উৎপাদনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গুজরাট সরকার এরই মধ্যে ভেদান্তা ও ফক্সকনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। চুক্তির অংশ হিসেবে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে স্বকীয়তা অর্জনে ১ কোটি ৫৪ লাখ রুপি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভারতে আইফোন উৎপাদন সক্ষমতা ৫০০ শতাংশ বাড়াতে তাইওয়ানভিত্তিক উইস্ট্রনের সঙ্গে আলোচনা করছে টাটা গ্রুপ।
Leave a Reply